নিঃসন্দেহে, ঢাকার বিভিন্ন স্থানে প্রতি সপ্তাহে এই বড় ব্যানারগুলোতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকারদের ছবি প্রদর্শন যুদ্ধের স্মৃতি পুনরুজ্জীবিত করবে। এটি কেবল ঘটনাগুলোকে আমাদের মনে তাজা রাখবে না, বরং অনেক দায়িত্বও স্পষ্ট করবে।
বিশ্বজুড়ে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ধারণা নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। কেউ কেউ দাবি করেন যে এটি ক্রমবর্ধমান অপরাধের হার মোকাবেলার জন্য একটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা,
বাংলাদেশে, সাম্প্রতিক বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বৃদ্ধি দেশীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ঘটনাগুলো কেবল দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করেনি, বরং আইনের শাসন এবং বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থাও ক্ষুণ্ন করেছে। এই আস্থা পুনরুদ্ধার এবং ন্যায়বিচারের অনুভূতি জাগ্রত করতে, যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে চলা এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নির্মূল করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যদিকে অনেকেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করে এর তীব্র বিরোধিতা করেন। এই বিতর্কটি জটিল, বহুমুখী এবং সমাধান থেকে অনেক দূরে। তবে, আইন এবং ন্যায়বিচারের নীতিগুলোকে সব পরিস্থিতিতে মেনে চলার গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে একটি সাধারণ ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে।
বিবেচনা করুন: আইন ও সালিশ কেন্দ্র (ASK) এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জানুয়ারি ২০২০ থেকে নভেম্বর ২০২১ পর্যন্ত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম এবং ক্রসফায়ার ঘটনায় কমপক্ষে ৪১৫ জন নিহত হয়েছেন। এই চমকপ্রদ সংখ্যা এই সমস্যার জরুরিতা এবং একটি নিরাপদ, আরও ন্যায়সঙ্গত সমাজের দিকে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।
সুতরাং, আইনের শাসন বজায় রাখা এবং যথাযথ প্রক্রিয়ার প্রতি সম্মান প্রদর্শন কেবল একটি আইনি বাধ্যবাধকতা নয়, এটি একটি নৈতিক দায়িত্বও। যদিও এটি একটি সহজ কাজ নয়, এটি সমাজের উন্নতির জন্য নিরলসভাবে অনুসরণ করা উচিত। তাই, মনে রাখবেন যে ন্যায়বিচার কেবল আদালতের কক্ষে পরিবেশন করা হয় না; এটি প্রতিটি পরিস্থিতিতে এবং দেশের প্রতিটি কোণে আইন মেনে চলা এবং সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে শুরু হয়।